নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪ - Documents for NID Application 2024

নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪ - Documents for NID Application 2024


আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ট্রিক্সকাকা ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আমাদের আজকের এই পোস্টে জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করবো। আশাকরি পোস্টটি শেষ অব্দি পড়বেন।

নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪?

আপনি কি নতুন ভোটার হতে চান? ‍কি কি কাগজপত্র দরকার সেটা জানেন না??? তাহলে আমি বলবো আজ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজ আমাদের এই পোস্টে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।

আপনি কি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে বা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চাচ্ছেন? তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি লাগে।

বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুসারে কোনো নাগরিকের বয়স ১৬ বছর হলেই নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করা যায়। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের ১৮ বছর পূর্ন হলেই ভোটার আইডি কার্ড আবশ্যক হয়ে পড়ে। বিভিন্ন কাজে ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা লক্ষ করা যায়।

তবে নতুন ভোটার হতে হলে কিছু কাগজপত্র আপনাকে রেডি করতে হবে। এবং সেগুলো জাতীয় পরিচয়পত্র কতৃপক্ষের নির্দেশনা মতাবেক অনুসরণ করেিএকদম ফ্রিতে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।

অনেকেই আছে এই বিষয় গুলো খেয়াল না করে অনলাইনে শুধু মাত্র আবেদন করে প্রত্যেকটি কাগজপত্র না গুছিয়ে  জমা দিতে যান। ফলসরুপ দেখা যায় হয়রানির শিকার হয়। বার বার একই কাজের জন্য ঘুরতে হয়। তাই এই হয়রানিতে যাতে আর কারো পড়তে না হয় সেই জন্য আমাদের আজকের পোস্টে বিস্তারিত বলে দিয়েছি। তাহলে চলুন জেনে নিই-

👉👉ই -পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে

নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদনর যোগ্যতা

নতুন ভোটারের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীকে কিছু শর্তাবলী অবশ্যই পূরণ করতে হয়। এগুলো হলো:

১. আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

২. সর্বনিম্ন ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।

৩. পূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করেনি এমন ব্যক্তি হতে হবে।

এসকল শর্তাবলী মেনে ফরম পূরণ করতে পারলে একজন ব্যক্তি অনলাইনে বা সরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসে আবেদন করতে পারবে। তবে কোন ব্যক্তি যদি প্রতারণা করে একাধিক আইডি কার্ড বা অবৈধ কোনো কিছু করে বা বানাতে চায়, সে ক্ষেত্রে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদনের জন্য অনলাইনে nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করলে, আবেদনের সাথে কিছু প্রমাণপত্র সংযোজন করে নির্বাচন অফিস বরাবর সেগুলো জমা দিতে হয়। তাছাড়া পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিসে বায়োমেট্রিক তথ্যাবলী (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দেওয়ার সময়ও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র করতে প্রয়োজনীয় সেই সকল কাগজপত্র গুলো হলো:

  • অনলাইনে আবেদনকৃত নিবন্ধন ফরম (ফরম-২)
  • নতুন ভোটার হওয়ার জন্য ফরম ১১
  • নতুন ভোটার হওয়ার জন্য মেম্বরের/ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রত্যয়নপত্র
  • AFIS ফরম
  • অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  • আবেদনকারীর বাবা, মা, স্বামী/ স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
  • S.S.C অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট। (বোর্ড পরীক্ষা/শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট না থাকলে, পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স।)
  • চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র
  • আবেদনকারীর পারিবারিক সনদ
  • আবেদনকারীর নাগরিকত্ব সনদ বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
  • আবেদনকারী বিবাহিত হলে কাবিননামা
  • রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট।
  • হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ কিংবা ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদি)।
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
  • আবেদনকারীর বয়স বেশি হলে, নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • পেশা যুক্ত করার জন্য কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন কিংবা এমপ্লয়ার আইডি (Employer ID)।

উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্ট সহ জমা দিলে আশাকরি দ্রুত তম সময়ে আপনি  (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট) এর জন্য মনোনিত হবেন।

👉👉পাসপোর্ট ফি : পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

এছাড়াও বয়স বেশি হলে নাগরিকত্ব ও অন্যান্য বিষয়ে যাচাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে বাড়তি কাগজপত্র চাইতে পারে। তদুপরি, অনলাইনে আবেদন করলে আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি/ সরাসরি আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন অফিসে পূরণকৃত আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড পেয়ে যাবেন।

ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে

জাতীয় পরিচয়পত্র একটি সরকারি ডকুমেন্ট। বাংলাদেশের সরকার তার নিজ দেশের এবং দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বিনা খরচে ন্যাশনাল আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করে থাকে। নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কোন ধরনের টাকা-পয়সার প্রয়োজন হয় না। তবে অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে, নিজে আবেদন না করে কোন কম্পিউটার-ইন্টারনেট সার্ভিসের দোকান থেকে আবেদন করলে, তাদের সার্ভিস চার্জ বাবদ কিছু টাকা খরচ হযতে পারে।


পরবর্তীতে, ন্যাশনাল আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সময় প্রিন্ট করে ল্যামিনেটিং করতে কিছু টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় নির্বাচনি অফিস গুলোতে ঘুসের বিনিময়ে কাজ চলছে। আসলে ভোটার নিবন্ধন করতে কোনো টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়না। চেষ্টা করুন যেন সরকারিভাবে ভোটার হালনাগাদের সময় নতুন আইডি কার্ডের আবেদন করতে পারেন।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আশা করি নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং কত টাকা ফি লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন এর আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই উক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ এবং ফি সম্পর্কে  জেনে নিবেন। আজকের লেখাটি এখানে সমাপ্ত ঘোষণা করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ট্যাগ: নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে,এনআইডি (NID) করতে যা যা লাগবে,নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে,Documents for NID Application 2024,নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে 2024,নতুন ভোটার আবেদন ফরম,অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম,নতুন ভোটার আবেদন ফরম ডাউনলোড,নতুন ভোটার হালনাগাদ কবে হবে ২০২৪,নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে,ভোটার নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড pdf,নতুন ভোটার কার্ড আবেদন 2024,নতুন ভোটার আইডি কার্ড কবে দিবে ২০২৪

Post a Comment

Previous Post Next Post