আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ট্রিক্সকাকা ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আমাদের আজকের এই পোস্টে পাসপোর্ট সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করবো। আশাকরি পোস্টটি শেষ অব্দি পড়বেন।
নতুন পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪?
নতুন পাসপোর্ট করার কথা ভাবছেন? বা রিইস্যু করার কথা ভাবছেন? কিংবা পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে,কত টাকা দরকার হয়,দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন পাসপোর্ট ফি কত টাকা।দালালের ফাদে পা না দিয়ে জেনে রাখুন একটি ই পাসপোর্ট করতে সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ হয়।
👉👉ই -পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
বিদেশ ভ্রমণ,সরকারি কাজ বা কর্মের উদ্দেশে পাসপোর্ট করার প্রয়োজন হয়,বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট সুবিধা চালু করে ২০২০ সালের ২২শে জানুয়ারী। পূর্বে মেশিন রিডেবল - MRP পাসপোর্ট চালু ছিল। তবে বর্তমানে সব জায়গায় ই পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে। পূর্বের MRP পাসপোর্ট এর তুলনায় ই পাসপোর্ট ফি তুলনামূলক একটি বেশিই বলা চলে।
তবে আগেকার মতো MRP পাসপোর্ট এখন আর তৈরি করা সম্ভব নয়। আর এই ই পাসপোর্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে আগে পাসপোর্ট এর ফি সম্পর্কে সম্যুক ধারণা থাকতে হবে। না হলে কোনো এক দালালের খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত টাকা এবং সময় নষ্ট হতে পারে। তাহলে আর দেরি কেন? চলুন জেনে নেই ই-পাসপোর্ট এর ফি সম্পর্কে বিস্তারিত-
পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
একজন বাংলাদেশী নাগরিকের ক্ষেত্রে ১৫% ভ্যাটসহ –
৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পেইজ –- রেগুলার ফি ৪০২৫ টাকা
- জরুরী ফি ৬৩২৫ টাকা
- অতিব জরুরী ফি ৮৬২৫ টাকা।
- রেগুলার ফি ৬৩২৫ টাকা
- জরুরী ফি ৮৬২৫ টাকা
- অতিব জরুরী ফি ১২০৭৫ টাকা।
- রেগুলার ফি ৫৭৫০ টাকা
- জরুরী ফি ৮০৫০ টাকা
- অতিব জরুরী ফি ১০৩৫০ টাকা।
- রেগুলার ফি ৮০৫০ টাকা
- জরুরী ফি ১০৩৫০ টাকা
- অতিব জরুরী ফি ১৩৮০০ টাকা।
এখানে,
Regular = নিয়মিত ডেলিভারি: বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে 15 কার্যদিবসের / 21 দিনের মধ্যে।
Express = এক্সপ্রেস ডেলিভারি: বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে 7 কার্যদিবস / 10 দিনের মধ্যে।
Super Express = সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি: বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে 2 কার্যদিবসের মধ্যে।
১৮ বছরের কম বয়সী বা অপ্রাপ্ত বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীরা শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট এর আবেদন বা গ্রহণ করতে পারবে। অতিব জরুরি আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বিঃদ্রঃ সরকারি চাকরিজীবি যাদের এনওসি(NOC) /অবসর সনদ (PRL) রয়েছে তারা রেগুলার ফি জমা দিলে Express Delivery এবং Express Delivery ফি জমা দিলে Super Express Delivery সুবিধা পাবেন।
👉👉অনলাইনে নিজের পাসপোর্ট চেক করার সহজ নিয়ম
পাসপোর্ট ফি : বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে আবেদন ক্ষেত্রে-
যদি কোন বাংলাদেশী সাধারন নাগরিক বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, অথবা হারিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট নতুন করে ইস্যু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশী দূতাবাসে গিয়ে আবেদন করলে নিম্নোক্ত Fee লাগবে।
৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পেইজ –
- রেগুলার ফি - 100 USD
- জরুরী ফি - 150 USD
- রেগুলার ফি - 150 USD
- জরুরী ফি - 200 USD
- রেগুলার ফি - 125 USD
- জরুরী ফি - 175 USD
- রেগুলার ফি - 175 USD
- জরুরী ফি - 225 USD
আবার অন্যদিকে বিদেশে অবস্থানরত কোন বাংলাদেশী শ্রমিক কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের পাসপোর্ট আবেদন কিংবা ইস্যু করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ফি পরিশোধ করবে –
৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পেইজ –
- রেগুলার ফি - 30 USD
- জরুরী ফি - 45 USD
- রেগুলার ফি - 150 USD
- জরুরী ফি - 200 USD
- রেগুলার ফি - 50 USD
- জরুরী ফি - 75 USD
- রেগুলার ফি - 175 USD
- জরুরী ফি - 225 USD
অনলাইনে: (ekpay- মাধ্যমে): (Payment option: VISA, Master Card, American Express, bKash, Nagad, Rocket, Upay, Dmoney, OK Wallet, Bank Asia, Brack Bank, EBL, City Bank, UCB, AB Bank, DBBL, Midland Bank, MBL Rainbow গেইটওয়ে ব্যবহার করার মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করা যাবে।
অফলাইন: এ-চালানের মাধ্যমে যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করা যাবে।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আশা করি পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং কত টাকা ফি লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই উক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ এবং ফি সম্পর্কে জেনে নিবেন। আজকের লেখাটি এখানে সমাপ্ত ঘোষণা করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।