ই -পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে - What Documents are Required for E-Passport?

ই -পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে - What Documents are Required for E-Passport


আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ট্রিক্সকাকা ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আমাদের আজকের এই পোস্টে পাসপোর্ট সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করবো। আশাকরি পোস্টটি শেষ অব্দি পড়বেন।


আপনি কি বিদেশ যেতে চান? আপনি কি অন্যান্য দেশে ঘুরতে যেতে চান? বা অন্যান্য দেশে কর্মের উদ্দেশে যেতে চান? তাহলে আমি বলবো আমাদের আজকের পোস্টেটি আপনার জন্য।


আপনি যদি বিদেশ যাওয়ার জন্য বা অন্যান্য কাজ করার জন্য পাসপোর্ট করতে চান তাহলে কিছু বিষয়  সম্পর্কে আপনার সম্যুক ধারণা থাকা আবশ্যক। যেমন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে? কত খরচ হয়? কিভাবে আবেদন করতে হয়? এই সব বিষয় গুলো জেনে রাখা ভালো।


তো যাই হোক আমরা আমাদের এই পোস্টে আজ শেয়ার করবো বাংলাদেশ পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? ৫ -১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট কনরত কি কি লাগে? এই সমস্ত কিছু থাকবে আমাদের আজকের পোস্টে।


বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট এর কিছু পরিবর্তন এসেছে যেমন আপনি এখন থেকে আর MRP পাসপোর্ট করতে পারবেন না। নতুন পাসপোর্ট তৈরি বা রিনিউ বা ইস্যু করার ক্ষেত্রে আপনাকে ই পাসপোর্ট দেওয়া হবে।




এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট সেবা চালু হয় ২০২০ সালের ২২শে জানুয়ারী। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে আপনি কোনো ধরনের দালালে সহায়তা ছাড়াই ঘরে বসে অনলাইনে ই পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।


ভোটার আইডি কার্ড বা জন্মসনদ বা অন্যান্য পরিচয়পত্র দিয়ে আপনি খুব সহজেই ই পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। বলতে গেলে পাসপোর্টের ধরনের উপর ভিত্তি করে কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। তাই বলা যাই  বিভিন্ন টাইপের পাসপোর্ট করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। আর কি কি কাগজপত্র লাগতে পারে সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই আমাদের আজকের পোস্ট। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এক সূখবর হলো এই সমস্ত কাগজপত্র গুলো সত্যায়িত করতে হয়না।

পাসপোর্ট এর ধরন সমূহ

  1. শিশুদের পাসপোর্ট।
  2. প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট।
  3. সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট।


আবেদনকারীর বয়স অনুযায়ী পাসপোর্টের এই ধরনের ভিন্নতা দেখা দেয়। তাছাড়া সরকারি চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাগজপত্র হিসেবে এনওসি (NOC) এবং গো (GO) প্রয়োজন হয়। এই টাইপের পাসপোর্টকে Government Order পাসপোর্ট বলা হয়ে থাকে।

পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে

পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করতে হলে আপনাকে অনলাইন বা সরাসরি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। পপাসপোর্ট কয় বছর মেয়াদি হবে সেটা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যেমন ৫ বছর,১০ বছর। তবে ৫-১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে হলে আপনার জাতীয়পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে।


এবং যারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা যাদের বয়স ২০ বছরের নিচে তাদের ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে জন্ম সনদ প্রয়োজন হবে। এছাড়াও পিতা মাতার আইডি কার্ড সহ নাগরিক সনদপত্র প্রয়োজন হবে। 


পেশা প্রমাণ করার ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ প্রয়োজন পড়বে। যেমন শিক্ষার্থী হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড,চাকরজিীবী হলে চাকরির কার্ড,এবং সরকারি চাকুরিজীবী হলে NOC এবং GO প্রয়োজন হতে পারে।

👉👉অনলাইনে নিজের পাসপোর্ট চেক করার সহজ নিয়ম


অনলাইনে বা ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা করে করে তার চালান রশিদ ও 3R Size এর ছবি প্রয়োজন হবে। 


সাধারণত আমরা পাসপোর্ট আবেদনের ভিত্তিকে ৩ ভাগে ভাগ করতে পারি। 

  • শিশুদের পাসপোর্ট 
  • প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট
  • সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট। 

বয়সের তারতম্যের কারণে পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

১. শিশুদের পাসপোর্ট এর আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. শিশুর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (Birth Certificate)
  2. গার্ডিয়ান হিসেবে পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ( বাধ্যতামুলক)
  3. অনলাইন আবেদনের কপি
  4. আবেদন ফি পরিশোধ বা ব্যাংক ড্রাফ্ট করে চালানের কপি
  5. টিকা কার্ড (বিশেষ ক্ষেত্রে)
  6. 3R Size Photo ( Must Have)

শিশুদের ই পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই পিতা মাতার জাতীয়পরিচয় পত্রের কপি বা অনলাইন জন্ম সনদের কপি সংযুক্ত করতে হবে। যেহেতু শিশুর বা বালকের বয়স ২০ বছরের নিচে তাদের আইডি কার্ড নেই, সেহেতু তাদের পিতা মাতার কাগজপত্র  প্রয়োজন পড়বে।

২. প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. জাতীয় পরিচয় পত্র তথা NID কার্ডের কপি
  2. ইউনিয়ন অথবা পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র
  3. ইউটিলিটি বিলের কাগজ
  4. অনলাইন আবেদন সারাংশ ( summary)
  5. অনলাইন আবেদনের কপি ( 3 pages copy)
  6. আবেদন ফি পরিশোধ বা ব্যাংক ড্রাফ্ট করে চালানের কপি
  7. আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রাপ্ত স্টুডেন্ট কার্ড। অথবা সার্টিফিকেট
  8. পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ( অপশনাল)
  9. বিবাহিত হলে নিকাহনামা

যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড আছে তাদেরকে সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের তালিকায় ধরা হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে।

৩. সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

  • আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের কপি
  • নাগরিক সনদপত্র
  • ইউটিলিটি বিলের কাগজ
  • অনলাইনে আবেদন সারাংশ (Summary)
  • আবেদনের পরে অনলাইন আবেদনের কপি
  • বিবাহিত হলে নিকাহনামা
  • পিতা মাতার এনআইডি ( অপশনাল)
  • NOC (No Objection Certificate)
  • বা GO (Government Order)


সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকের থেকে (NOC ও GO) এই ২টি ডকুমেন্ট বেশি প্রয়োজন হবে। যারা রাষ্ট্রীয় কাজে সরকারি আদেশে দ্রুত দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করবে, তাদের ক্ষেত্রে GO (Government Order) প্রয়োজন।


এবং সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করলে, তার মন্ত্রণালয় কিংবা অভিদপ্তর থেকে NOC (No Objection Certificate) ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে। এই ডকুমেন্টগুলো ব্যতীত সরকারি চাকরিজীবীদের অন্য কোন ডকুমেন্টস প্রয়োজন নেই।



বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্টে Spouse Name যুক্ত করতে চাইলে অবশ্যই স্বামী/ স্ত্রীর NID কার্ড ও কাবিন নামা প্রয়োজন হবে।


শেষ কথা

সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আশা করি পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই উক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিবেন। আজকের লেখাটি এখানে সমাপ্ত ঘোষণা করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Post a Comment

Previous Post Next Post