আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ট্রিক্সকাকা ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আমাদের আজকের এই পোস্টে জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করবো। আশাকরি পোস্টটি শেষ অব্দি পড়বেন।
আমাদের আজকের পোস্টটি পড়লে আশাকরি নতুন ভোটার আইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে সমস্ত কিছু জেনে যাবেন।
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন বা সংশোধন করার পর আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে চান তাহলে আমাদের আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ অব্দি দেখুন। আশাকরি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সমস্ত বিষয় জানতে পারবেন।
বিশ্বের সকল নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড করা বাধ্যতামূলক। এটি সাধারণ জনগনের বৈধ নাগরিকের ও দেশের পরিচয় বহন করে। বলা যায় এটি সকল নাগরিকের জন্য একটি বৈধ সার্টিফিকেট।
এই ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে একজন মানুষ কোন দেশের বৈধ নাগরিক সেটি শনাক্ত করা সম্ভব। তাছাড়াও ভোটার আইডি কার্ড প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হয়। উদাহরণসরুপ যদি বলি তাহলে, পাসপোর্ট তৈরিতে,মটর সাইকেল এর কাগজপত্র,ড্রাইভিং লাইসেন্স,সিম কার্ড রেজিষ্ট্রেশনে,বিভিন্ন চাকরির আবেদনে,বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তিতে এছাড়াও বিভিন্ন কাজে প্রতিনিয়ত প্রয়োজন হয়।
👉👉অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪
ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করে সমস্ত কাগজপত্র নির্বাচন অফিস বরাবর দাখিল করার ৭-১৫ তিনের মধ্যে কতৃপক্ষ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশনারে সার্ভারে আপলোড করা হয়। NIDW নির্বাচন অফিসের এই ওয়েবসাইট থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন খুব সহজে। নিম্নে আমরা এই সমস্ত বিষয়াবলি আলোচনা করেছি। আশাকরি উপকৃত হবেন।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
বাংলাদেশের সকল নাগরিক নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইট থেকে অল্প সময়ে ডাউনলোড করতে পারবেন। অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য যে জিনিসগুলো অবশ্যই লাগবে। সেগুলো নিম্নরুপ দেওয়া হলোঃ-
- ১। জাতীয় পরিচয়পত্র / এনআইডি নম্বর/ফরম নম্বর [আপনি যখন ফিংগার ও বায়োমেট্রিক দিয়েছিলেন তখন কতৃপক্ষ আপনাকে একটি রিসিট দিয়েছিল সেটিতে দেখবেন ফর্ম নম্বর দেওয়া আছে এবং এনআইডি নম্বর আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে পাবেন]
- ২। জন্মতারিখ।
- ৩। বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা তথ্য।
- ৪। একটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার।
- ৫। NID Wallet অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার জন্য স্মার্টফোন।
জাতীয় পরিচয়পত্র / এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়মাবলি ছবিসহ ধাপে ধাপে দেখানো হলো:
১ম ধাপ : NIDW ওয়েবসাইটে ভিজিট
প্রথমত আপনাকে মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে এনআইডি ওয়েবসাইটে একাউন্ট ক্রেইট করতে হবে। একাউন্ট ক্রেইট করার জন্য এখান থেকে NID Download ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘রেজিস্টার করুন’ অপসনে ক্লিক করতে হবে। সমস্য হলে নিম্নের স্ক্রিনশট ফলো করুন।
২য় ধাপ: জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম তারিখ প্রদান
একাউন্ট রেজিস্টার/ক্রেইট করার জন্য প্রথম ভাগে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ভোটার স্লিপ নম্বরটি লিখুন। তারপর জন্ম তারিখের দিন, মাস ও বছর পূরন করুন। নিচের ক্যাপচার মতো যদি অন্য ক্যাপচা থাকে তাহলে কোডটি সঠিকভাবে লিখুন এবং সাবমিট এ ক্লিক করুন।
৩য় ধাপ: বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য
আপনার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদনের সময় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আপনার বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করুন। তারপর একইভাবে আপনার স্থায়ী ঠিকানার তথ্য পূরণ করুন। সকল তথ্য পূরন করা হলে পরবর্তী – অপশনে ক্লিক করুন।
৪র্থ ধাপ: মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন
উপরের তথ্য সঠিক ভাবে দিলে মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার জন্য প্রয়োজন পড়বে। এক্ষেত্রে আপনার ভোটার আইডি কার্ড আবেদনের সময় ব্যবহৃত বা লগিন করার সময় যেকোনো একটি মোবাইল হলেই হবে। এবং সেই মোবাইল নম্বরে অটিপি পাঠানো হবে ভেরিফাই করার জন্য।
👉👉নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪
আপনি চাইলে এখান থেকে মোবাইল পরিবর্তন- এ ক্লিক করে আপনার হাতে থাকা সিম নাম্বার টি দিতে পারবেন। তারপর ‘বার্তা পাঠান’ বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি কোড পাঠানো হবে। যাচাইকরন কোডের ঘরে সেই OTP কোডটি সঠিকভাবে লিখে বহাল/পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
৫ম ধাপ: ফেইস ভেরিফিকেশন করুন
বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড বের করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রে নিরাপত্তার জন্য ফেইস ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়ে এটি বাধ্যতামূলক। এই পর্যায়ে ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য একটি QR কোড পেজ দেখতে পাবেন।
এই ধাপে আপনার মোবাইলে পূর্বে ডাউনলোড করে রাখা NID Wallet অ্যাপ্লিকেশ প্রবেশ করুন। তারপর QR কোডটি স্ক্যান করুন। তারপর অটোমেটিক্যালি NID Wallet এ ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য ক্যামেরা ওপেন হবে। মোবাইলে সেলফি তোলার সময় ক্যামেরার সামনে আপনার চেহারা একবার সামনের দিকে, একবার ডামে , একবার বামে, আবার চোখের পলক, ফেলে কার্যক্রমটি সঠিকভাবে তুলে ধরুন।কারপর দেখবেন ফেইস ভেরিফাই হয়ে যাবে। তারপর হোমপেইজে নিয়ে যাবে।
৬ষ্ঠ ধাপ : ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
এই ধাপে আপনাকে যদি পাসওয়ার্ড সেট করতে বলে তাহলে আপনার একাউন্টের নিরাপত্তার সার্থে পাসওয়ার্ড সেট করে নিবেন। আর না চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন। পাসওয়ার্ড সেট সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন, রিইস্যু, একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ও এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
এখান থেকে ‘ডাউনলোড’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ফাইল ম্যানেজারে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড হয়ে যাবে। ডাউনলোড করে সেটি যেকোনো কম্পিউটার দোকান থেকে প্রিন্ট করে লেমনেটিং করে যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
👉👉পাসপোর্ট ফি : পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
উপরোক্ত নিয়মে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে শুধু অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত মেইন কপি পেতে সরকারি হালনাগাদের অপেক্ষা করুন।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আশা করি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম,কিভাবে অনলাইনে আবেদন করা যায়, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন এর আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই উক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ এবং ফি সম্পর্কে জেনে নিবেন। আজকের লেখাটি এখানে সমাপ্ত ঘোষণা করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।