আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ট্রিক্সকাকা ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আমাদের আজকের এই পোস্টে মাত্র ২১ দিনে কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করবো। আশাকরি পোস্টটি শেষ অব্দি পড়বেন।
আমাদের আজকের পোস্টটি পড়লে আশাকরি মাত্র ২১ দিনে কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে ? সম্পর্কে সমস্ত কিছু জেনে যাবেন।
২১ দিনে কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে ?
গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া একটি প্রক্রিয়া যা নির্ভর করে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মান, কনটেন্টের গুণগত মান, এবং গুগলের নীতিমালা অনুসরণ করার উপর। সাধারণত, অ্যাডসেন্স অনুমোদন পেতে সময় লাগে, তবে নিচের কৌশলগুলো অনুসরণ করে আপনি প্রক্রিয়াটি ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারেন।
১. একটি মানসম্মত ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন:
- নিশ নির্ধারণ করুন: একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে (নিশ) ফোকাস করুন। সাধারণত, গুগল বিশেষজ্ঞ সাইটগুলোকে গুরুত্ব দেয়। ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, টেক রিভিউ, ট্রাভেল বা অন্যান্য বিষয়ে ব্লগ করতে পারেন।
- প্রফেশনাল ডিজাইন: আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগটি সুন্দর এবং প্রফেশনালভাবে ডিজাইন করুন। পরিষ্কার নেভিগেশন, ফাস্ট লোডিং স্পিড এবং মোবাইল রেসপন্সিভ ডিজাইন রাখুন।
- অবশ্যকীয় পেজগুলো তৈরি করুন:About Us: আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে বিস্তারিত লিখুন। Contact Us: যোগাযোগের জন্য একটি ফর্ম বা ইমেইল অ্যাড্রেস দিন। Privacy Policy এবং Terms and Conditions: এই দুটি পেজ যুক্ত করুন, কারণ গুগল এগুলো দেখে।
২. গুণগত মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করুন:
- মিনিমাম ১৫-২০ টি ব্লগ পোস্ট: আপনার ব্লগে ১৫-২০টি মানসম্মত এবং ইউনিক পোস্ট থাকতে হবে। প্রতিটি পোস্টের দৈর্ঘ্য ৮০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে হওয়া উচিত এবং SEO অপটিমাইজ হওয়া উচিত।
- কপিরাইট ফ্রি কনটেন্ট: কোনো পোস্ট বা ছবি কপি করবেন না। গুগল প্লেজারিজম করা কনটেন্ট অনুমোদন করে না।
- ইউনিক এবং ভ্যালুয়েবল ইনফরমেশন দিন: আপনার কনটেন্ট এমন হতে হবে যা পাঠকদের জন্য শিক্ষামূলক বা উপকারী। শুধু মাত্র SEO এর জন্য নয়, আপনার কনটেন্ট পাঠকের জন্য মূল্যবান হতে হবে।
৩. ট্র্যাফিক এবং নিয়মিত পোস্টিং:
- প্রাথমিক ট্র্যাফিক তৈরি করুন: গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে কিছু পরিমাণে ট্র্যাফিক থাকা প্রয়োজন। সোশ্যাল মিডিয়া বা ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ট্র্যাফিক আনতে পারেন।
- নিয়মিত পোস্ট: ২১ দিনের মধ্যে নিয়মিত পোস্ট করুন। প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন ২-৩টি কনটেন্ট পোস্ট করা ভাল, পরে সাপ্তাহিক ২-৩টি পোস্ট করুন।
- অর্গানিক ট্র্যাফিক: গুগল থেকে কিছু অর্গানিক ট্র্যাফিক আনার চেষ্টা করুন। SEO এর মাধ্যমে সাইটটি অপটিমাইজ করুন, যাতে সার্চ ইঞ্জিন থেকে কিছু ভিজিটর আসে।
৪. গুগল অ্যাডসেন্স নীতিমালা মেনে চলুন:
- গুগল অ্যাডসেন্স নীতিমালা সম্পর্কে ভালোভাবে পড়ুন এবং এগুলো মেনে চলুন। বিশেষ করে, আপনার সাইটে কোনো অবৈধ, হিংসাত্মক, বা অশ্লীল কনটেন্ট থাকবে না।
- কপিরাইট নিয়ম মেনে চলুন: আপনার সাইটে ব্যবহৃত সব ধরনের ছবি, ভিডিও, এবং কনটেন্টের কপিরাইট থাকতে হবে।
৫. গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন:
১৫-২০টি পোস্ট এবং পর্যাপ্ত ট্র্যাফিক পাওয়ার পর, আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার সময় কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে:
- পোস্টের মান: আপনার পোস্টগুলোতে পর্যাপ্ত তথ্য থাকতে হবে এবং তারা পাঠকদের জন্য সহায়ক হতে হবে।
- সাইটের বয়স: সাধারণত, নতুন সাইটগুলোর জন্য ৬ মাসের অপেক্ষার সময় থাকে, কিন্তু যদি আপনার সাইটের কনটেন্ট মানসম্মত হয় এবং ট্র্যাফিক ভালো থাকে, তবে ২১ দিনের মধ্যে অ্যাপ্রুভ পেতে পারেন।
৬. গুগল অ্যাডসেন্স আবেদন প্রক্রিয়া:
- অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন: আপনার সাইটের URL দিয়ে একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলুন।
- সাইট ভেরিফিকেশন: গুগল আপনার সাইট যাচাই করতে কিছু কোড যোগ করতে বলবে। কোডটি আপনার সাইটে যুক্ত করুন এবং গুগল আপনার সাইট রিভিউ করবে।
- রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করুন: রিভিউ প্রক্রিয়া ১-৩ সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। আপনি গুগলের পক্ষ থেকে ইমেইল পেয়ে যাবেন যে আপনার অ্যাপ্রুভ হয়েছে কিনা।
৭. অ্যাডসেন্স পাওয়ার পর করণীয়:
- অ্যাড ফরম্যাট নির্বাচন: অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ হওয়ার পর, আপনার ব্লগে কী ধরনের অ্যাড দেখাবেন তা ঠিক করতে পারবেন।
- অ্যাড পজিশনিং: অ্যাড কোথায় বসাবেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। এমন জায়গায় অ্যাড বসান যা পাঠকদের বিরক্ত না করে।
- কনটেন্ট আপডেট: নিয়মিত মানসম্পন্ন কনটেন্ট প্রকাশ করতে থাকুন, যাতে আপনার সাইটে ট্র্যাফিক বৃদ্ধি পায়।
উপসংহার:
গুগল অ্যাডসেন্স পেতে সময়সাপেক্ষ হতে পারে, কিন্তু ২১ দিনের মধ্যে অনুমোদন পাওয়ার জন্য নিয়মিত ও মানসম্পন্ন কাজ করতে হবে। কনটেন্টের মান বজায় রাখা, ট্র্যাফিক তৈরি করা, এবং গুগলের নীতিমালা মেনে চলা অ্যাডসেন্স অনুমোদনের জন্য মূল চাবিকাঠি।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আশা করি ব্লগার টেমপ্লেটের ফুটার ক্রেডিট কীভাবে সরিয়ে ফেলা যায়! সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আজকের লেখাটি এখানে সমাপ্ত ঘোষণা করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments