আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ট্রিক্সকাকা ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আমাদের আজকের এই পোস্টে ব্লগার টেমপ্লেটের ফুটার ক্রেডিট কীভাবে সরিয়ে ফেলা যায় সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করবো। আশাকরি পোস্টটি শেষ অব্দি পড়বেন।
আমাদের আজকের পোস্টটি পড়লে আশাকরি দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪ সম্পর্কে সমস্ত কিছু জেনে যাবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা বলতে গেলে সবার আগে বুর্জ খলিফা ও কৃত্রিম নির্মিত দ্বীপের কথা সবার আগে মনে পরে। আর এই দুবাই শহরটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত। এই শহরটি সব থেকে জনবহুল শহর। দুবাইয়ে অসংখ্য অসংখ্য কোম্পানি আছে। বলা হয় এই কোম্পানি গুলো দুবাইয়ের প্রাণ।
এই সকল কোম্পানি গুলো দেশের অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বলতে গেলে বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মের সন্ধানে শ্রমিকগন দুবাইয়ে পাড়ি দেয় এবং যোগ দেয় বিভিন্ন কোম্পানিতে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশে টাকা পাঠায়। আবার অনেক বুর্জ খলিফা দেখার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করে থাকে। এখান থেকে অর্থনৈতিক ভাবে দেশটি লাভবান হয়।
তাই বলা যায়, এই কোম্পানি গুলো দেশে অর্থনৈতিক ভূমিকা পালন করে থাকে। দুবাইয়ের অনেক নামি দামি কোম্পানি আছে। যে কোম্পানি গুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। কোম্পানি গুলো আকর্ষনীয় বেতনের ব্যবস্থা করে যেটার কারণে শ্রমিকগণ দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিতে থাকে।
কিন্তু দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন পড়ে বটে। সেগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হয়। যেমন ভিসা,পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র। এর মধ্যে জটিলতম হলো ভিসা পাওয়া ও কোম্পানিতে যোগ দেওয়া। ভিসা পেয়ে গেলে আবার কোম্পানি যোগ দেওয়া একদম ইজি ব্যাপার।
আসল কথা হলো দুবাইয়ের কোম্পানিতে বেত কত হবে? এটা জানার জন্য কিন্তু অনেকে গুগল,ইউটিউব সহ যত সোশ্যাল মিডিয়া সব গুলো ঘাটাঘাটি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায়। আবার দালাল ধরে দালালের করে কাছে গেলে হয়রানির তো শেষ হয়না। তাই এই সব স মস্যার অবসান ঘটানোর জন্যই মূলত আমাদের আজকের এই পোস্ট। আশাকরি পোস্টটি শেষ অব্দি পড়বেন।
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত
দুবাই কোম্পানিতে ভিসা কত টাকা এটা নির্ভর মূলত দক্ষ শ্রমিক ও কোম্পানির উপর। কোম্পানি গুলো তারা তাদের শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করে থাকে। বর্তমান সময়ে খোঝ খবর নিলে জানা যায় দুবাই কোম্পানির বেতন ৪০-৬০ হাজার টাকা মতো।
এছাড়া কোম্পানির উপর ভিত্তি করে কোম্পানি গুলো তাদের শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে পারে।
দুবাই কোম্পানি ভিসা কত টাকা
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কাজের ধরনের উপর। বর্তমানে দুবাইয়ের সাধারণ কাজের সর্বনিম্ন বেতন হয়ে থাকে ৫০-৭০ হাজার টাকা।
তবে এখানে শ্রমিকের অভিজ্ঞতাকে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। শ্রমিকের অভিজ্ঞতা থাকলে মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে তা ৮০-৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
দুবাই শ্রমিকের বেতন কত
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরটিতে প্রচুর শ্রমিকের অভাব। পর্যাপ্ত পরিমান শ্রমিক নেই। তাই বিভিন্ন দেশ হতে শ্রমিক নিয়ে তাদের শ্রমিকের চাহিদা মেটায়। এই নতুন শ্রমিকের বেতন একটু কমই থাকে পরবর্তীতে অভিজ্ঞতার ফলশ্রতিতে বেতন বৃদ্ধি পাই।
নতুন শ্রমিকের বেতন হয়ে থাকে ৬০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অপর দিকে শ্রমিকের অভিজ্ঞতা থাকলে অর্থাৎ দক্ষ শ্রমিকের বেতন প্রতি মাসে ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
দুবাই যেতে খরচ কত
বর্তমানে দুবাই ২ ভাবে যাওয়া যায়।
১. সরকারি
২. বেসরকারি
সরকারি ভাবে দুবাই যেতে হলে একজন শ্রমিকের নূন্যতম ৫-৬ লক্ষ টাকা এবং বেসরকারি ভাবে যেতে হলে ৮-৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করতে গেলে আরো কিছু টাকা লাগতে পারে। গত কয়েকদিন আগে আমার এক ভাই দুবাই গেলো তার তথ্যমতে সকল কাজ সম্পন্ন করে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে।
দুবাই কোম্পানি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- বৈধ পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফর্ম (পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- কাজের যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত (যদি থাকে)
- মেডিকেল পরীক্ষার সনদ (কোম্পানি নির্ধারিত)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠ্যবৃন্দ আশা করি দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আজকের লেখাটি এখানে সমাপ্ত ঘোষণা করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ট্যাগ: দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪,দুবাই কোম্পানি ভিসা ২০২৪,দুবাই কোন কাজের বেতন কত,দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত,দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত,দুবাই ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কত,দুবাই ক্লিনারের বেতন কত,দুবাই ক্লিনার ভিসা
Tags
ভিসা সংক্রান্ত